স্বপ্ন দেখতে শিখুন, আত্মবিশ্বাসী হোন
অন্তরা উর্মি:
ইকেন সাইমনসকে কেউ চিনেন? তার বয়স মাত্র ২১ বছর। আর এই ২১ বছর বয়সের ছেলেটাকে নিয়ে টানাটানি করে গুগোল আর ফেসবুক।
কেন জানেন? তাদের প্রতিষ্ঠানে চাকরী করানোর জন্য!
খুব অদ্ভুত ব্যাপার না? মাত্র ২১ বয়সেই এতো বড় বড় প্লাটফর্মে তার জনপ্রিয়তা সত্যিই অবাক হওয়ার বিষয়! শুনলে হয়তো চমকেও উঠতে পারেন এই সাইম মাত্র ১৩ বছর বয়সে মোবাইল এপ্স বানান যা প্রথম দিনেই ৪২ কপি পরের দিন ১০০ কপি তৃতীয় দিন ১৫০ কপি
বিক্রিয় হয়। দ্রুতই এই এপ্স বিক্রির ক্ষেত্রেে সেরা ১০ এর রেকর্ড ভেঙ্গে দেয়!
তার পরের মাসেই ঘটল আসল ঘটনা এপেল কম্পানি
তাকে ৫ হাজার ডলারের চেক পাঠায়। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তার মাসিক ইনকাম দাঁড়ায় ১২ হাজার ডলার।
তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা হয়ে ফেসবুকে জয়েন করেন। তারপরের বছর প্রকৌশলী হয়ে চাকরী স্থায়ী হয়।
এ বছর চাকরী ছেড়ে দেওয়াতে ফেসবুক আর গুগোল তাকে নিয়ে টানাটানি করে পরে তিনি জানান গুগোলে
যোগদান করতেছেন।
তিনি ফেসবুকের সর্বকনিষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন এবং গুগোলের সর্বকনিষ্ঠ কর্মকর্তা হবেন।
মাইকেল সাইমনসকে নিয়ে লিখলে আরো লিখা যাবে যাইহোক মূল কথায় আসি। শুধু মাইকেল সাইমনস না উন্নত বিশ্বের যুবকেরা ২০ বছর বয়স হলেই ভাবে কিভাবে ইউনিক কিছু করা যায়। ৩০ এর আগেই কিভাবে কোটিপতি বনে যাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের দেশের যুবকেরা কি করে?
দুধের দাত পড়তে না পড়তেই প্রেম শিখে যায়, সুন্দরী মেয়েদের পিছে লাইন না মারলে পেটের ভাত হজম হয় না ২০ বছর বয়স হতে হতেই ৪/৫ টা ছ্যাকা খেয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে সব স্বপ্ন ভেঙ্গে চুড়ে শেষ।
ওহে বৎস! কি ছিল তোমার স্বপ্ন? ওমুক মেয়েকে বিয়ে করব, হানিমুন করব, সংসার করব, হেই করব তেই করব ইত্যাদি, ইত্যাদি!
এইটারে কি স্বপ্ন বলে?
ওহে বৎস এইডা স্বপ্ন না এইটা নিয়ে না ভাবলেও
এমন সময় আসবে। তো যেখানে উন্নত বিশ্বের যুবকেরা চিন্তা করে পরিশ্রম করে কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় সেখানে আমরা চিন্তা করি কিভাবে হেতিরে লইয়া
পালানো যায়। কিভাবে ঐ মাইয়াডারে পটানো যায়। আরে পাগলা প্রতিষ্ঠিত হতে পারলে মেয়ে পটানো লাগে না এম্নেই পটবে, ভাগায় আনা লাগবে না মেয়ের
বাপে বাড়িতে এসে দিয়ে যাবে।
লেখাটা ঐসব যুবকদের জন্য যারা প্রেমের নেশায় মাতাল হয়ে রাতের পর রাত দিনের পর দিন মোবাইল ফোন কানে নিয়ে প্রেমিকার সাথে ব্যস্ত আছে, আমার
লেখাটা তাদের জন্য যারা "আমি আর বাচতে চাই না, আমার সব স্বপ্ন শেষ!" এসব ভেবে দিনাতিপাত করতেছে।
আমি বলব ব্যাচ-২৭ নাটক দুইটা দেখতে, মেয়েকে পাইলটের সাথে বিয়ে দেয় কারণ তার বেতন ৩ লাখ, মেয়েকে অপূর্বর সাথে বিয়ে দিল না কেননা তার কিছুই নাই!!
ছ্যাকা খেয়ে অপূর্ব ভেঙ্গে না পড়ে সে সিদ্ধান্ত নেয় পাইলট হবে এবং সে পাইলটই হয়। নাটক সিনেমা হয়তো বাস্তব নয় কিন্তু চেষ্টা আর যিদের করলে নাটক
সিনেমাকে হার মানানো যায়। সুতরাং একটা কথায় বলব স্বপ্ন দেখুন, "কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হব, কিভাবে বড় হব, কিভাবে এই সমাজ বদলে দিব। আমি লেখক কিংবা চিত্রনায়ক হব, আমি ক্রিকেটার নয়তো সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হব ইত্যাদি ইত্যাদি!
ধৈর্য সহকারে পুরা লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ...
No comments